অপহরণের পর পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি!

ডেস্ক রিপোর্ট:

inside-post

উত্তরায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে অপহরণের পর মুক্তিপণের দাবিতে পাশবিক নির্যাতনের সব ভিডিও পাঠানো হচ্ছে পরিবারের কাছে। ভারতীয় নম্বর থেকে চাওয়া হচ্ছে মুক্তিপণ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি হাসিবুর রহমান হিমেলকে।

অপহরণের পর ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে পরিবারের কাছে। টাকা না পেয়ে বাড়ানো হচ্ছে নির্যাতনের মাত্রা। গাছে ঝুলিয়ে বেধড়ক পেটানোর ভিডিও পাঠানো হয় অপহৃত হাসিবুর রহমান হিমেলের মায়ের নম্বরে।

গত ২৬ ডিসেম্বর উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে বের হয়ে ড্রাইভারসহ নিখোঁজ হয় হাসিবুর। পরিবারের কাছে পাঠানো ভিডিওতে খোদ ড্রাইভারকেই দেখা যায় অপহরণকারীর ভূমিকায়। কালো গেঞ্জি পড়া যে ছেলেটি হাসিবকে ধরে আছে সেই এ পরিবারটির গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন প্রায় তিন বছর ধরে।

ঘটনা জানতে উত্তরার বাসায় গেলে সাংবাদিক দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হাসিবের মা। ব্যবসায় কথা বলে গত ২৬ ডিসেম্বর ড্রাইভার সামিদুল তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শেরপুরের উদ্দেশ্য বের হন। তারপর থেকেই ফোন আসতে থাকে মুক্তিপণ চেয়ে।

ভুক্তভোগীর মা জানান, অপহরণকারীরা আমাকে কখনও ময়মনসিংহ, কখনও নেত্রকোণা একা যেতে বলে। সেখান থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা হেঁটে ভেতরে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে টাকা দিলে আধাঘণ্টার মধ্যে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হলেও এখনও হাসিবকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে চারজন।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ বলেন, মূল অপহরণকারী সামিদুল এবং মালেকের নম্বর আমরা পাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে এবং তাদের স্ত্রীকে আমরা গ্রেপ্তার করি। অপহরণকারীরা যেন ভুক্তভোগীকে মেরে না ফেলে তাই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো দেখুন