এলাকার মানুষ জানে আমি মাঝি, যদিও নৌকা পাইনি: মাহিয়া মাহি

ডেস্ক রিপোর্ট:

inside-post

প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, ভোটাররা চান আমি যেন বিপুল ভোটে জিতে নৌকার মাঝি হই। এলাকার মানুষ জানে আমি মাঝি, যদিও নৌকা পাইনি।

রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহি সোমবার (১১ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিন প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, টেনশনে ছিলাম যে ন্যায়বিচার পাবো কি না। কারণ আমি আমার জায়গা থেকে সৎ ছিলাম। আজ সেটারই আসলে প্রতিদান পেয়েছি। শতভাগ বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে। কারণ সেখানে আমার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আমার এলাকার লোকজনই আমাকে জোর করে বলেছে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। তারা আমাকে নৌকার মাঝি হিসেবেই দেখতে চায়।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাপ তো অবশ্যই আছে। আসলে কে চাইবে হেরে যেতে? হার তো আসলে আমরা কেউ পছন্দ করি না, আমরা চাইও না। যে যার জায়গা ধরে রাখতে চেষ্টা করবে। কিন্তু আমি বরাবরই যোদ্ধা। আমি যুদ্ধ করেই আসলে জিতবো। এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমেই নির্বাচন হবে। রাজশাহী-১ আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে এবং ইনশাআল্লাহ আমি বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়ী হবো।

গত ২৭ নভেম্বর রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তোলেন মাহিয়া মাহি। তার আগে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হতে রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন তিনি। আসন দুটির কোনোটিতেই মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তোলেন নায়িকা।

গত ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতাংশ ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষর পাওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তিনি আপিল করেন। আপিল তথ্যে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া। আপিল নম্বর ১৭৯/২০২৩।

রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে এই আসনের সংসদ সদস্য।

আরো দেখুন