এসপির বদলি চেয়ে ইসিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের আবেদন
ডেস্ক রিপোর্ট:
যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদারের বদলির দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
আবেদনটি করেছেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জি এম মজিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি গৌর কুমার ঘোষ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সুব্রত ব্যানার্জি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) করা ওই আবেদনে বলা হয়েছে, এসপি প্রলয়ের শ্বশুরবাড়ি মনিরামপুরে। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন কুমার ভট্টাচার্য এসপির শ্বশুর হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর করা আবেদনে আওয়ামী লীগ নেতারা উল্লেখ করেছেন, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার যশোরে প্রায় তিন বছর কর্মরত আছেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা হলেও তার শ্বশুর বাড়ি মনিরামপুরে। এছাড়া তিনি যশোর-৫ মনিরামপুরের সংসদ সদস্য ও পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের ‘জামাই’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। স্বপন কুমার ভট্টাচার্য এবারও একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। আত্মীয়তার কারণ ছাড়াও বর্তমান যশোর-১ আসনের এমপি আফিল উদ্দিনসহ অনেকের সঙ্গে তার ব্যক্তি পর্যায়ের সুসম্পর্ক রয়েছে। যা আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে বলে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, সম্প্রতি প্রলয় কুমার জোয়ারদার নিয়মিত পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি হয়েছেন। সাধারণত নিয়মিত পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা পূর্ব পদে কর্মরত থাকেন না। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যেন জয়ী হতে না পারে সেজন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন যশোর-৫ (মনিরামপুর)সহ বেশিরভাগ আসনে। মনিরামপুরসহ যশোরের অন্য আসনগুলোতে ভোটারদের শঙ্কামুক্ত রেখে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এসপি প্রলয় জোয়ারদারকে বদলির আবেদন জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আবেদনকারীদের একজন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জিএম মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, এসপি প্রলয় জোয়ারদার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের শ্বশুর হিসেবে পরিচিতি। স্বপন ভট্টাচার্য এবারও মনিরামপুরে নৌকার প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। ফলে মনিরামপুর আসনের ভোটাররা মনে করছেন এসপি শেষ পর্যন্ত ভোট স্বপন বাবুর পক্ষে প্রভাবিত করবেন। বিষয়টি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় আমরা তার বদলি চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছি।