নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ৫৭১
ডেস্ক রিপোর্ট:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ৫৭১। এর মধ্যে আলীগ ২৩৫ জন কোটিপতি প্রার্থী, জাতীয় পার্টির ৪৭ জন, স্বতন্ত্র ১৬৩ জন, জাসদের ৭জন কোটিপতি, তৃনমূল বিএনপির ৬জন কোটিপতি প্রার্থী।
এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে ১৬৪ প্রার্থীর বছরের এক কোটি টাকার বেশি আয়। ১০০ কোটির বেশি সম্পদ রয়েছে ১৮ জনের বেশি প্রার্থীর।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘নির্বাচনী হলফনামায় তথ্যচিত্র, জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত আছেন টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, সুমাইয়া খায়ের।
নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে দেয়া প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। তথ্যচিত্র তুলে ধরেন তিন সদস্যের গবেষণা দলের প্রধান তৌহিদুল ইসলাম। অন্য দুই সদস্য ছিলেন রিফাত রহমান ও রফিকুল ইসলাম। তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনে এক হাজার ৮৯৬ জন অংশগ্রহণ করছেন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৮ শতাংশ। আর দলীয় প্রার্থী ৮২ শতাংশ।
পরে টিআবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় দেয় তথ্য কতোটা সঠিক এবং কতোটা বৈধ তা যাচাই করা হয় না। সম্পদের অর্জনকালীন যে মূল্য তুলে ধরা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। একজন মন্ত্রীর বিদেশে চলমান ব্যবসার মূল্য ২৩১২ কোটি টাকা।
রাজনীতি আর ব্যবসা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ব্যাংকিং, আরএমজি, বিদ্যুৎ খাতগুলো ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের প্রভাবে রাজনীতিকরা কোনঠাসা বা বিলুপ্তপ্রায়।
তথ্য গোপন করা অপরাধ। হলফনামার তথ্য একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সম্পদ বিকাশের বিষয়ে জনগনের কাছে জবাবদিহিতা নেই।
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, দুটো সমাজ তৈরি হয়েছে, একটি সম্পদশালী আরেকটি দিন আনি দিন খাই শ্রেনী। এতো সম্পদ বাড়ে কি করে একজন মানুষের।
যারা শাসক গোষ্ঠি আছে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে কাজ করছে। অতি দ্রুত ধনী হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে, কয়েকজন মানুষ ধনী হচ্ছে। যা আমাদের জন্য খুব দুঃখজনক।