মিথ্যা মামলায় মৃত ব্যক্তিকেও সাজা দেয়া হচ্ছে: রিজভী
ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজধানীর রামপুরা, ধানমন্ডি, মুগদা ও সবুজবাগ থানার ৪টি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় মৃত ব্যক্তিসহ মোট ৩২ জন নেতাকর্মীকে ফরমায়েশী রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সবুজবাগ থানার ২০১২ সালে দায়েরকৃত একটি মিথ্যা মামলায় (মামলা নং-১০-১২-১২) বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের মোট ১৫ জন নেতাকর্মীকে ফরমায়েশী রায়ে ৩ বছর ৬ মাস কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ হাবিবুর রশিদ হাবিব, বিএনপি নেতা- মোরসালিন, মনির হোসেন, কাজী বাবু, ৭৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সোহরাওয়ার্দী চেয়ারম্যান, আলমাস হোসেন চেয়ারম্যান, আতাউর রহমান, মোঃ মাকসুদ, ভিডিও বাবু, আলামত, সালামত, ওমর ফারুক, শাজাহান, রাশিদুল হাসান নোমান ও মোঃ গোলাম হোসেন। এর মধ্যে ৭৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সোহরাওয়ার্দী চেয়ারম্যান গত ৩ বছর আগেই মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরেও তার নামে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করা হয়েছে।
রামপুরা থানার একটি মিথ্যা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের মোট ১৪ জন নেতাকর্মীকে ৩ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফয়েজ আহমেদ ফরু, আবুল মেছের, হেলাল কবির হেলু, আলম শোভন, কামাল হোসেন দুলু, নাফিদ সারোয়ার তন্ময়, আশরাফুল আরিফ ডন, মশিউর রহমান, রেজাউল করিম রাজু, মাইন উদ্দিন আহমেদ তুহিন. মির্জা হাসান বুলু, আহম্মদ আলী চৌধুরী ও দিদারুল ইসলাম।
এই ধরনের বানোয়াট মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী সাজার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও সাজা বাতিলের জোর আহবান জানান রুহুল কবির রিজভী।
চট্টগ্রাম মহানগরের অন্তর্গত ১৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা নাজির শরীফকে গতকাল রাতে কুসুমবাগস্থ নিজ বাসা থেকে, ১৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা কাজী রায়হানকে জিইসি মোড় থেকে এবং ছাত্রদল নেতা ইসমাইলকে কৃষ্ণচূড়া হাউজিং থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা সাদা প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমি তাদেরকে জনসম্মুখে হাজির করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও দূর্গানগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সীতাকুন্ড উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী মো. সেলিম উদ্দিনকে বাসায় না পেয়ে তার ছোট ভাই ক্রিড়া ব্যক্তিত্ব ও অরাজনৈতিক ব্যক্তি কাজী মো. নাজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন এবং সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য পারভেজ হোসেন সুমনসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক রতন ত্রিপুরা, গুমতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, তিনটহরী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও মাইসছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলীসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফেনী জেলাধীন সদর উপজেলা যুবদল নেতা সালমান ফারসিসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নোয়াখালী জেলাধীন চাটখিল পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুন্নবী, ছাত্রদল নেতা নুর হোসেন বাবু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী মোস্তাফিজ ইকবাল, বাসুরহাট পৌর বিএনপির সদস্য শফি উল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাগেরহাট জেলাধীন রামপাল থানা বিএনপি নেতা ইসমাইল শেখ ও মোংলা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. নাজমুল তালুকদারসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সানোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে অবরোধের মিছিল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা শাহেদুল আলম চৌধুরী রিপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নাটোর জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও যুবদলের মোট ১০ জন নেতাকর্মীকে গভীর রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও জেলার প্রায় অধিকাংশ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গতরাতে পুলিশ তল্লাশির নামে ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের সাথে দূর্ব্যবহার করে।