অমর একুশে বইমেলার শেষ সময়ে বেচাকেনার আশা
শেষ সময়ে জমজমাট বেচাকেনার আশা
অমর একুশে বইমেলা দেখতে দেখতে রোববার ২৬ দিনও পার হওয়ার পথে। প্রকাশকরা বলছেন, করোনা মহামারি-পরবর্তী নানা সংকটে জর্জরিত মানুষ অর্থ ব্যয়ে সংযমী হয়েছেন।
তাই এ বছর বইয়ের বিক্রি নিয়ে তারা শঙ্কায় ছিলেন। কিন্তু গত ২৫ দিনে বইয়ের বিক্রি তাদের সেই শঙ্কা দূর করেছে।
ক্রেতা-পাঠকদের সরব উপস্থিতির কারণে এবার বিক্রি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো। ফলে মেলার শেষ সময়ে, বিশেষ করে শেষের তিন দিনে বিক্রি আরও বাড়বে বলেই আশা তাদের।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মেলায় আসা অধিকাংশ মানুষের হাতেই ছিল বই। বিকেলে সোহরাওয়ার্দী একাডেমি প্রাঙ্গণে মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরছিলেন কুষ্টিয়া থেকে আসা গোলাম কিবরিয়া। তিনজনের হাতেই বইয়ের ব্যাগ। কথা হলে জানান, মেয়ে এবং স্ত্রীর পছন্দের বেশকিছু বই কেনা হয়েছে। মেলা ঘুরে আরও কিছু বই কিনে তবে ফেরা।
মেলায় কথা হয় আরেক বই প্রেমিক অধ্যাপক কামালউদ্দীনের সঙ্গে। তিনিও তালিকা ধরে স্টলে স্টলে ঘুরে বই কিনছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে কলকাতায় ভারতীয় লেখক অন্নদা শঙ্কর রায়ের বাড়িতে তার সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য কথা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ লেখক বাংলাদেশের পক্ষে অনেক লেখালেখি করেছেন। এ বছর ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন তার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ‘অন্নদা শঙ্কর রায়ের মুক্তিযুদ্ধ’ নামে বই প্রকাশ করেছেন। জার্নিম্যান বুকসের প্যাভিলিয়নে লেখকের হাত থেকে বইটি সংগ্রহ করেছি। বইমেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো এসে তালিকা ধরে বই কিনছি।