জেসিআই’র টিওওয়াইপি সম্মাননা পেলেন ডা.তাহসীন বাহার সূচনা
জেসিআই’র টিওওয়াইপি সম্মাননা পেলেন ডা.তাহসীন বাহার সূচনা
এ বছরের ‘টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়ং পার্সনস (টিওওয়াইপি) অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করে আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ। এবারের আয়োজনে পার্সোনাল একম্পিলশমেন্ট ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন “জাগ্রত মানবিকতা” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনা।
শুক্রবার রাতে কক্সবাজারে সী পার্ল বীচ রিসোর্টে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী জমকালো অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও জেসিআই বাংলাদেশের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ পরিণত হবে উন্নত দেশে। সে লক্ষ্যে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
জেসিআই বাংলাদেশের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘টিওওয়াইপি একটি বৈশ্বিক পুরস্কার। প্রতি বছর পৃথিবীর একশর বেশি দেশে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। নানা ক্ষেত্রে অবদানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ায় যারা ভূমিকা রাখছেন এমন তরুণদের এই স্বীবৃতি দিয়ে থাকি। জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশর তরুণদের অন্যতম বৃহত্তম সংস্থা এবং সংস্থাটি দেশের ২০৪১ সালের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।’
তাহসীন বাহারের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই তার শহর কুমিল্লা মহানগরের পরিধি ছাড়িয়ে দেশজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে, জাগ্রত মানবিকতা ফাউন্ডেশন রক্তদানে কুমিল্লাজুড়ে নাম ছড়িয়েছে। এমবিবিএস শেষ করা এই স্বেচ্ছাসেবীর উদ্যোগটি কোনো ধরনের অনুদান ছাড়াই সংগঠনটি প্রতিবছর মেডিক্যাল ক্যাম্প, ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের মাধ্যমে পুরো কুমিল্লায় সাড়ে ৬ হাজার রক্তদান, পুরো শহরে ডেঙ্গুরোগের প্রতিষেধক, করোনায় ২০ হাজারের বেশি অসহায় পরিবারকে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেছে। তাহসীন তার বাবার উদ্যোগে নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে কাজগুলো করেন। এ ছাড়া বড় কয়েকটি কাজ অনেকটা অগোচরেই করে গেছেন।
জেসিআই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণদের নিয়ে গঠিত বিশ্বব্যাপী একটি সংগঠন যা তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে সক্রিয় অবদান রাখে। বর্তমানে ১০৫টিরও বেশি দেশে এই সংগঠনের প্রায় দুই লাখ সক্রিয় সদস্য রয়েছে। জেসিআই বাংলাদেশ প্রতিবছর সমাজে তরুণ-তরুণীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় প্রতি বছর দশ তরুণকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।