যৌথ পরিবারে কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব
যৌথ পরিবারে কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব

আমাদের সমাজে এখনো অনেকেই যৌথ পরিবারে বসবাস করেন। একাধিক মানুষের অর্থে চলে সেসব পরিবার। পরিবারের টাকার নির্দিষ্ট কোনো মালিক থাকেন না। বলা হয়ে থাকে, যত দিন পিতা জীবিত থাকেন—তত দিন তিনিই পরিবারের কর্ণধার। এমন সংসারের অর্থ উপার্জনকারীরা বিত্তবান হলে, পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা বা যেকোনো একজনের নামে কোরবানি দিলেই কী সবার কোরবানি হয়ে যাবে?
যৌথ পরিবারে কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো—একই পরিবারে প্রত্যেকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোরবানি ওয়াজিব। যেকোনো একজনের নামে কোরবানি করার দ্বারা বাকিদের কোরবানি আদায় হবে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, কোনো ব্যক্তি কারও বোঝা নিজে বহন করবে না। (সুরা নাজম: ৩৮)
কোরবানি কবুল হওয়ার শর্তকোরবানি কবুল হওয়ার শর্ত
মহানবী (সা.) বলেন, যার কোরবানির সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না—সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৫১৯)
তবে যৌথ পরিবারে ঈদের আমেজ ধরে রাখতে এমন হতে পারে—পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৫ জনের ওপর কোরবানি করা আবশ্যক হলে ৫ জন মিলে একটি গরু, মহিষ বা উট কিনে কোরবানি করলেন। তাতে বাহ্যিকভাবে পশু একটি হলেও যেহেতু প্রতিজনের ভাগেই অন্তত এক ভাগ পড়ছে, তাই সবার ওয়াজিব কোরবানি আদায় হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, কোরবানির ও জাকাতের নেসাবের পরিমাণ একই। যদি কোনো ব্যক্তি সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব, খরচ ও ঋণ বাদ দিয়ে কোরবানির দিনগুলোতে (জিলহজ মাসের ১০,১১ ও ১২ তারিখ) সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা তার সমপরিমাণ বাজার মূল্যের নগদ টাকা বা যে কোনো পণ্যের মালিক হয় তবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।