দেবীদ্বারে নৌকায় ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করানোয় শাস্তির মুখে উপজেলা চেয়ারম্যান
ডেস্ক রিপেোর্ট:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য অঙ্গীকার করান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানী। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা।
কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের পক্ষে ভোট চান ওই উপজেলা চেয়ারম্যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা।
জানা গেছে, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওই আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও নিগার সুলতানার উপস্থিতেই সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের জন্য ভোট চান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা প্রশাসন রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
দেবিদ্বার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানী বলেন, ‘দেবীদ্বারে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল একবার উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়ে অনেক উন্নয়ন করেছেন। এবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আপনারা সবাই রাজী মোহাম্মদ ফখরুলকে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো বিজয়ী করবেন। এ সময় উপস্থিত সকলকে তিনি দুহাত তোলে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করান।
পরে ওই সভাস্থলেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিগার সুলতানা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানীকে নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানীর বক্তব্যে নেওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিগার সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আচরণবিধি ভঙ্গ করার দায়ে সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে সতর্কও করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে প্রার্থী হতে গিয়ে পদত্যাগ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। পরে তার পদশূন্য থাকায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।