আড়াই লক্ষ টাকার জাল নোটসহ আকরাম(২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
কুমিল্লার বরুড়ার লক্ষীপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর বাজারে আড়াই লক্ষ টাকার জাল নোটসহ আকরাম(২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার কৃত আসামী আকরাম লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ফলকন গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।
শনিবার(৫ আগষ্ট) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার ১৪নং লক্ষীপুর ইউপি’র লক্ষীপুর পশ্চিম বাজার সংলগ্ন সালাউদ্দিন হোটেলের সামনে থেকে জাল টাকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,শনিবার দুপুরে বরুড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) মর্তুজা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দিবাকালীন জরুরী টহল, মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটি করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে,লক্ষীপুর বাজারে সালাউদ্দিন হোটেলের সামনের রাস্তায় অবৈধ জাল টাকা বিক্রয়ের জন্য কারোর জন্য আকরাম অপেক্ষা করিতেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিতে টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক আকরামকে গ্রেফতার করে।এ সময় তার দেহ তল্লাশী করে ৪৯০ টি ৫০০ টাকার অবৈধ জাল নোট জব্দ করে।যার মূল্য ২৪৫০০০ টাকা।
এ সময় তাকে কোথায় থেকে জাল নোট করিয়াছে জানতে চাইলে সে জানায়,সে ফারুক ও সিরাজ নামের অজ্ঞাত ঠিকানার দুই ব্যক্তি থেকে জাল নোট সংগ্রহ করিয়া কুমিল্লা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে।
এ ঘটনায় বরুড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) মর্তুজা বাদী হয়ে
উক্ত ঘটনায় এসআই(নিঃ)/ মোঃ আলী মর্তুজা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার আকরামসহ পলাতক দুই আসামীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বরুড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) মর্তুজা বলেন,এ বিষয়ে থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।অপর দুই আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে”।
এ বিষয়ে বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন,তিন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।আটককৃত আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।বাকী দুইজনকে গ্রোপ্তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে”।