জরিমানা গুনলেন বরুড়ার জাপা প্রার্থী, বরাদ্দ ছাড়াই প্রতীক বানিয়ে প্রচারণা
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইরফান বিন তোরাব আলী নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দের আগেই সড়কের ওপর প্রতীক সম্বলিত তোরণ নির্মাণ করে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। খবর পেয়ে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ওই তোরণটি ভেঙে ফেলা হয়। জরিমানা করা হয় ওই প্রার্থীর।
নির্বাচন কমিশন আইন ২০০৮ অনুযায়ী প্রার্থী যিনি চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দাখিল করার পরে যোগ্য প্রার্থী হওয়ার পরে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই নির্বাচনি প্রচারণার জন্য উপযুক্ত হবেন প্রার্থী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বরুড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইরফান বিন তোরাব আলী বরুড়া পৌরসভার নয়নতলায় অবস্থিত উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে সড়কের ওপর ওই গেইট নির্মাণ করেছেন।
সড়কের ওপর বাঁশ দিয়ে নির্মিত ওই গেইটের চারপাশে সাদা সামিয়ানায় মোড়ানো। সামিয়ানার উপর দুপাশের দুই দিক এবং উপরের পাশে উভয় দিকে মোট ৬টি রঙিন ব্যানার লাগানো। যার প্রতিটিতেই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যানদের ছবিসহ দলীয় প্রতীক লাঙ্গল দেওয়া। প্রতিটি ব্যানারে লেখা আছে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ড. ইরফান বিন তোরাব আলীকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিন। যা নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী সুস্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন।
ঘটনার বিষয়ে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইরফান বিন তোরাব আলী বলেন, আমার কর্মী সমর্থকরা এ কাজটি করে থাকতে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এমন কিছু করে থাকলে আমাকে দেখান, আমি নির্দেশ দেব তা সরিয়ে ফেলতে।
এদিকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মঈন উদ্দিন। এসময় ঘটনার সত্যতা পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তিনি। মোবাইল কোর্টে ঘটনার সত্যতা পেয়ে লোকজন দিয়ে প্রতীক সম্বলিত তোরণটি ভেঙে ফেলা হয়। এসময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ওই প্রার্থীর ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মঈন উদ্দিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নু- এমং মারমা মং বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই প্রার্থীকে শোকজ করা হবে।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসাইন খান বলেন বলেন, প্রতীক বরাদ্দে আগে এসব প্রচার প্রচারণা আচরণবিধি লঙ্ঘন।